LOADING

দক্ষিণ দিনাজপুরে পিতামাতাহীন দুই আদিবাসী নাবালক ভাই খাবারের জন্য অন্যের দয়ায় নির্ভরশীল।

Spread the love
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের ব্রজবল্লভপুরের আদিবাসী পাড়ার অভিভাবকহীন দুই ভাই কার্ত্তিক ও গণেশ সোরেন। অভিভাবক হিসেবে ছিল ১২ বছরের দাদা। কয়েকদিন হল দাদা খাবারের খোঁজে বেরিয়ে এখনও ফেরেনি। বাড়িতে মা বাবা কেও নেই। বাবা বুধু সোরেন দীর্ঘদিন হল ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে এখনও ফেরেনি। ছোট ছেলে গণেশের যখন তিন মাস বয়স, তখন ওদের মা শান্তি স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। তখন থেকে থেকে তিন ভাই ঠাকুমার কাছে থাকছিল। সম্প্রতি ঠাকুমা মারা যাওয়ায় তিন ভাইকে খেতে দেবার মতন কেও নেই। সারাটা দিন এখন এক মুঠো খাবারের খোঁজেই কেটে যাচ্ছে। সমস্ত ঘটনা জানা গিয়েছে জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় গত ৩০ অগস্ট, ২০১৯ সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। অনাহারে রুগ্ন দশা হয়েছে বংশীহারির দুই ভাই কার্তিক ও গণেশের। সকাল হতেই খাওয়ার জন্য অসহায় মুখে এ-পাড়া ও-পাড়া করে বেড়ায় আট ও দশ বছরের দুই নাবালক। সহৃদয় কোনও প্রতিবেশী কাছে ডেকে কিছু খাবার দিলে উজ্জ্বল হয়ে উঠে অনাহারক্লিষ্ট দু’টি মুখ। দুই ভাইয়ের সারাটা দিন এখন এক মুঠো খাবারের খোঁজেই কেটে যাচ্ছে। খাবার না পেলে হাটে-বাজারে রাস্তার ধারে মুখ বুজে বসে থাকছে। দুই ভাইয়েরই হাড় জিরজিরে চেহারা। পরনে বলতে ছেঁড়া প্যান্ট। ঠাকুরমা মারা যাওয়ার পর ওই কুঁড়ে ঘরে খাবার দেওয়ার কেউ নেই ওদের। তাই ঘর ছেড়ে কারও দোকানের বারান্দায়, খড়ের গাদায় কিংবা রাস্তার ধারে কোনও শেডের নীচে রাত কাটাচ্ছে। প্রতিবেশী এক মহিলা ববিতা মণ্ডল জানান, তিনি এবং আরও কয়েক জন যতটা সম্ভব বাচ্চাগুলিকে দেখছেন। ডেকে খেতে দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্ত ওদের স্থায়ী ব্যবস্থা না হলে অনাহারে বাচ্চা দু’টি অসুস্থ হয়ে পড়বে বলে ওঁদের আশঙ্কা। গ্রামের অনেকেই ওদের দেখছেন। অনেকে সাহায্যও করছেন। এ ব্যাপারে বংশীহারির বিডিও সুদেষ্ণা পাল জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে দুই নাবালক ভাইকে সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। নিখোঁজ বড় ভাইয়েরও খোঁজ নেওয়া হবে বলে বিডিও আশ্বাস দেন।

Loading