প্রয়াত ঝাড়খণ্ডি নেতা তথা ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিনপুর বিধানসভার প্রাত্তন বিধায়ক নরেন হাঁসদার ৬৪ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে ফুটবল প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিল নরেন হাঁসদার পরিবার| এই উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা| উপস্থিত ছিলেন ভারত দিশম মাঝি মাডোয়ার দিশম মাঝি মানতান পূর্ণচন্দ্র সরেন, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার প্রাত্তন চেয়ারম্যান মাননীয় দুর্গেশ মল্লদেব, মদনমোহন মান্ডি, বলাই মুর্মু, শ্রীনিবাস সোরেন, পশুপতি মুর্মু, কল্লোল রায়, বিশ্বরূপ সাহা এবং আরো অনেক সম্মানীয় মানুষজন|
উপস্থিত সকলকে প্রয়াত নরেন হাঁসদার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়| প্রয়াত নরেন হাঁসদার পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) এর বর্তমান সভানেত্রী ও বিনপুর বিধানসভার প্রাত্তন বিধায়ক এবং প্রয়াত নরেন হাঁসদার স্ত্রী চুনিবালা হাঁসদা, আইনজীবি পুত্র ফুরগৌল হাঁসদা, সাঁওতালি সিনেমার মহানায়িকা তথা বড় কন্যা বীরবাহা হাঁসদা ও অন্যান্যরা|
পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলে ঝাড়খণ্ডি নেতা প্রয়াত নরেন হাঁসদা এক অতি জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব| ১৯৫৬ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর এই মহান ঝাড়খণ্ডী নেতা জন্মগ্রহন করেন বিনপুর বিধানসভার মাগুরা গ্রামে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) এর সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন। বিনপুর বিধানসভা থেকে ২ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে ঐতিহাসিক কাণ্ড ঘটান। নরেন হাঁসদার আগে যত জন আদিবাসী সাঁওতাল বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই হয় বাংলা বা ইংরেজিতে শপথ নিয়েছিলেন। নরেন হাঁসদা প্রথমবার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে সাঁওতালি ভাষায় শপথ গ্রহণ করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন। তৎকালীন CPIM এর সরকার প্রথমে নরেন হাঁসদা কে সাঁওতালি ভাষায় শপথ নিতে প্রবল বাধা সৃষ্টি করেছিলেন, কিন্তু নরেন হাঁসদার জেদ এর কাছে নতি স্বীকার করে তাঁকে সাঁওতালি ভাষায় শপথ নেবার অনুমতি দেয়।