LOADING

জাল এসটি সার্টিফিকেট প্রদান রুখতে জঙ্গলমহল জুড়ে ডেপুটেশন আদিবাসীদের|

Spread the love

দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ফেক এসটি সার্টিফিকেট ইস্যুর আশঙ্কায় এবার সমরে জঙ্গলমহল| গত ১৬ ই আগস্ট ২০২১ থেকে দ্বিতীয় দফায় সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে জাতিগত শংসাপত্র প্রদানও এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোগ। সারা রাজ্য জুড়ে এমনিতেই ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারীদের সংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অ-অাদিবাসীরা বিভিন্নভাবে এসটি সার্টিফিকেট তৈরি করে প্রকৃত আদিবাসীদের যাবতীয় সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নির্বাচনের ক্ষেত্রগুলিতে প্রকৃত আদিবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি সরকারী দপ্তরে অ-আদিবাসীরা প্রকৃত আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে থাবা বসাচ্ছে। স্বভাবতই আদিবাসীরা এগুলোকে আদিবাসীদের ধ্বংসের চক্রান্ত বলে মনে করছে। গত সোমবারের এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর এলাকার পুরপ্রধান অখিল চন্দ্র বর্মন হাতেনাতে প্রায় ৫০- ৬০ জন মহিলাকে ধরে ফেলেন যারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ পাওয়ার জন্য অনৈতিক উপায়ে জাতিগত শংসাপত্র বানানোর তোড়জোড় করছিলেন। ওয়েস্টবেঙ্গল সিডিউল্ড ট্রাইব ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে তপশিলি উপজাতি শংসাপত্র বিতরণে যাতে স্বচ্ছতা থাকে তার আবেদন জানিয়ে গত ১৬ অগাস্ট থেকে সারা রাজ্য জুড়ে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং ব্লক আধিকারিক সহ ডি.ডব্লিউ.ও এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে স্মারকলিপি লিপি জমা দিচ্ছেন। গত ১৮ এবং ১৯ তারিখে জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া জেলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে মেমোরেন্ডাম দেওয়ার পর গতকাল ২৫ অগাস্ট ঝাড়গ্ৰাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন। জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে আগামী ৩ রা সেপ্টেম্বর রঘুনাথপুর মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাওয়া গেছে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঝাড়গ্ৰাম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে “ঝাড়গ্ৰামের মাননীয় মহকুমা শাসকের সঙ্গে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছেন এবং মাননীয় আধিকারিকের সঙ্গে সদর্থক ভাবে আলোচনা হয়েছে।” পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে অ-আদিবাসীরা এসটি সার্টিফিকেট যাতে না পায় তার ব্যবস্থা মাননীয় আধিকারিক করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এরই সঙ্গে আরও বলেন যে, যেখানেই ঝাড়গ্ৰাম জেলার মধ্যে অ-আদিবাসীরা এসটি সার্টিফিকেট পেয়েছে তৎক্ষনাৎ তা জানালে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেবেন এবং এর মধ্যেই বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ওনাকে ফেক এসটি সার্টিফিকেট ইস্যুতে ফোন করেছেন বলেও জানালেন। দীর্ঘ আলোচনায় তিনি এও বলেন যে, -গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল এবং নয়াগ্ৰাম ব্লকে বৈগা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ তপশিলি জাতি থেকে তপশিলি উপজাতি হতে চাইছে এবং শিলদায় এক কর্মকার আগে অন্যান্য অনগ্ৰসর জাতিভুক্ত ছিল এখন তপশিলি জাতির জন্য দরখাস্ত করছে, সেই দরখাস্ত বাতিলেরও কিছু নথি সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। গতকালের এই সাক্ষাৎ মূলক আলোচনাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল‍্যাণ সমিতির ঝাড়গ্ৰাম জেলা শাখার সভাপতি বৈদ্যনাথ হাঁসদা, সম্পাদক নিরজ্ঞন মুরমু, কোষাধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ হাঁসদা, সক্রিয় সদস্য-অর্জুন মুর্মু, সক্রিয় সদস্য ছাকু টুডু, কচিরাম টুডু, লুদা সেরেন, উপেন্দ্রনাথ হেমরম, দিলীপ মান্ডি, সঞ্জয় হাঁসদা, ভরত হেমরম, যতীন নায়েক, ভগবান মান্ডী, কানাই মুদি কানু মান্ডি প্রমুখেরা।
তথ্য সৌজন্য – Adibasi News.

Loading