LOADING

প্রস্তাবিত “পঃবঃ কেন্দ্রীয় সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হোন।

Spread the love
সাঁওতালী ভাষা স্বীকৃতি ও সাঁওতালী ভাষায় শিক্ষার দাবীতে পশ্চিমবাংলার আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। রাস্তা অবরোধ, ডি আই অফিস ঘেরাও, কলকাতা মহানগরে জনসমাবেশ সহ বিভিন্ন প্রকারে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের দাবী জানিয়ে আসছে। সামান্য কিছু দাবী আদায় হলেও বেশিরভাগ দাবীগুলি এখনও অবহেলিত। মুলত আন্দোলন সংগঠিত কারী নেতাদের ভুল সিদ্ধান্ত বা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারার জন্য সাঁওতালী ভাষী জনগন আজও নিজেদের মাতৃভাষা সাঁওতালী ভাষায় প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা লাভের সুযোগ পেল না। বর্তমানে অবশ্য কিছু প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সাঁওতালী ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু সেই ব্যবস্থা সাঁওতাল জনগনের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। বর্তমানে পশ্চিমবাংলার সাঁওতাল জনগণের দরকার শান্তিনিকেতন স্থিত “বিশ্ব ভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়” এর আদলে “কেন্দ্রীয় সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়”। ১৯০৫ সালের ৫ মে এক পূর্ণিমা তিথিতে ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার রায়রঙ্গপুর থানার অন্তর্গত ডহরাডিহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাঁওতাল সমাজের শিক্ষার মণি পণ্ডিত রঘুনাথ মুরমু। তিনি ১৯২৫ সালে অলচিকি লিপি উদ্ভবনের পর সেই লিপিতেই সাঁওতালি ভাষায় বিভিন্ন নাটক, কবিতা ও বই লেখেন। ১৯৭৭ সালে ঝাড়গ্রামের বেতাকুন্দরিডিহিতে তিনি একটি সাঁওতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিল্যান্যাস করেন। কিন্তু আজ অব্ধি পশ্চিমবঙ্গে কেন, সারা ভারতবর্ষের কোথাও “সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করা হল না। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তি ঝাড়খণ্ড রাজ্যে প্রাত্তন বিধায়ক ও ঝাড়খণ্ড আন্দোলনের নেতা সূর্য সিং বেশরার নেতৃত্বে এক “সাঁওতাল বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতি উত্তম ও সাধু উদ্যোগ। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে পণ্ডিত রঘুনাথ মুরমু নিজে চেয়েছিলেন যে ঝাড়গ্রামের বেতকুঁদরিতে “সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন হোক। আজ যদি পশ্চিমবাংলার বুকে “সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন না হয়ে পার্শ্ববর্তি ঝাড়খণ্ড রাজ্যে “সাঁওতাল বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন হয় তাহলে সেটা পশ্চিমবাংলার অপামর সাঁওতাল জনগণের পক্ষে মোটেও গর্বের বিষয় হবে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু বিনা চেষ্টায় হার মানা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই পশ্চিমবাংলায় “সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি সহমত থাকেন তাহলে আপনিও আমাদের সাথে যোগ দিন। জোহার ও ধন্যবাদ। এই প্রস্তাবিত “পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সাঁওতালী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে সচেষ্ট হয়েছে “পশ্চিমবাংলা আদিবাসী মূলবাসী সমাজ ওয়েবসাইট গোষ্ঠী “। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন আমাদের ইমেল এর মাধ্যমে – adibasimulbasisamaj@gmail.com

Loading