সারা রাজ্যে যেভাবে ফেক এসটি সার্টিফিকেটধারী দের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আদিবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। অ-আদিবাসীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রকৃত আদিবাসীদের জন্য ধার্য যাবতীয় সাংবিধানিক অধিকার। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন বা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং সহ টিচার্স ট্রেনিং এবং যাবতীয় চাকরিতে এসটি দের জন্য সংরক্ষিত আসনে থাবা বসাচ্ছে অ-আদিবাসীরা। বেশ কিছু নির্বাচনে দেখা গেছে এসটি দের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়ছে অ-আদিবাসী ব্যক্তিগণ। ভূয়ো এসটিদের রমরমাতে প্রকৃত এসটি রাই কোণঠাসা। এমত অবস্থায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অসৎ ব্যবহার করে বেশ কিছু অ-আদিবাসী এসটি সার্টিফিকেট হাতিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আদিবাসীরা। ওয়েস্টবেঙ্গল সিডিউল্ড ট্রাইব ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটে বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে এই ইস্যুতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়| জেলা শাসক, প্রকল্প অধিকর্তা তথা জেলা কল্যাণ অধিকর্তা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ এবং উপজাতি উন্নয়ন ও গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন এবং মেমরেণ্ডাম জমা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। কিছুদিনের মধ্যেই এই ইস্যুতেই জেলার প্রতিটি মহকুমা ও ব্লক অধিকর্তার কাছে মেমোরেন্ডাম জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাখার সদস্যরা। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন শিবলাল মার্ডি, সনাতন হেমব্রম, সিদন মুর্মু, রতন মুর্মু, রাজকুমার টুডু, জর্জ সরেন, রমেশ কিস্কু, রবীন্দ্রনাথ মুর্মু, ভবেশ মুর্মু, রবীন মুর্মু, সরলা মার্ডি, বেলি মার্ডি, সাকিলা কিস্কু প্রমুখেরা।