ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারীদের প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে ১৪ নভেম্বর, ২০২১ (রবিবার) মালদার টাউন হলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের নিয়ে উত্তরবঙ্গ জোনের কর্মীসভা সম্পন্ন হল। কর্মীসভায় মহিলা ও যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফেক এসটি কমিউনিটি বা ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারীদের সংখ্যা বর্তমানে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে রাজ্যের প্রকৃত আদিবাসীরাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। শিক্ষা, চাকরি সহ জনপ্রতিনিধি মূলক ক্ষেত্রগুলোতে আদিবাসীদের জন্য ধার্য আসনে অ- আদিবাসীরা ব্যপক ভাবে থাবা বসাচ্ছে। ফলত প্রকৃত আদিবাসীরা তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই জাতীয় অত্যাচার আর বঞ্চনাকে আদিবাসীরা তাদের ধ্বংসের চক্রান্ত বলেই মনে করছে। ফেক এসটি সার্টিফিকেট ইস্যুতে সারা রাজ্য জুড়েই আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তর ও আদিবাসী জনপ্রতিনিধি দের কাছে লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও এর কোনো সন্তোষজনক পদক্ষেপ তাদের নিতে দেখা যাচ্ছে না বলে আক্ষেপ পোষণ করেছেন এসোসিয়েশনের সদস্যরা। ফাইল স্থানান্তর বা শুকনো আশ্বাস ছাড়া আদিবাসীরা কিছুই পায়নি বলেও এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই দিন সকাল দশটা নাগাদ অতিথি বরণ এবং আদিবাসী মনীষী ও বীর স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে শিশু সঙ্গীত শিল্পী লাংতিতি কিস্কু। অনুষ্ঠানের সভাপতি রূপে ছিলেন মশে টুডু। আজকের কর্মীসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সভাপতি বালকরাম সরেন, সহ সভাপতি সোম মুর্মু, রাজ্য সম্পাদক পার্শাল কিস্কু, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মিতন চন্দ্র টুডু ও ধনঞ্জয় মুর্মু। সমগ্ৰ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দিলীপ কিস্কু ও সিদন মুর্মু। এসটি সার্টিফিকেট প্রতিরোধের রূপরেখা ও আলোচনা ছাড়াও আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনা করেন সরলা মার্ডী, বেলী মার্ডী, সোম কিস্কু প্রমুখ শিল্পীরা। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানের আয়োজক্তা ছিলেন মশে টুডু ও সুনীল হাঁসদা। আজকের কর্মীসভায় আদিবাসীরা অত্যন্ত উজ্জীবিত হবে এবং কয়েক গুন শক্তি নিয়ে চরম আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলেই মত প্রকাশ করেছে এসোসিয়েশনের সদস্যরা।