LOADING

মালদা জেলায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলন|

Spread the love

মালদা জেলা জুড়ে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলন চলবেই বলে সাফ জানালেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জেলা সভাপতি রবি মুর্মু।
সম্প্রতি মালদা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে ঝাড়খণ্ড থেকে টাকা নিয়ে এসে মালদহে আন্দোলন করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে গত বুধবার (২০/১১/২০১৯) গাজলে সাংবাদিক বৈঠকে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আদিবাসী বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করলেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জেলা সভাপতি রবি মুর্মু। সাঁওতালি ভাষার দাবিতে তাঁদের আন্দোলন আগামী দিনেও চলবে বলে জানান তিনি। রবি মুর্মু বলেন, ‘‘সাঁওতালি ভাষার দাবিতে পাঁচ রাজ্যে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলন চলছে। এতে টাকা নেওয়ার কোনও বিষয় নেই। অথচ প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
মালদা জেলা প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় যে মালদা জেলায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলন প্রায়ই হয়। গত সোমবারও হবিবপুর, গাজল এবং পুরাতন মালদহে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ওই দলের নেতা-কর্মীরা। সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পঠনপাঠন, গ্রামাঞ্চলের টোটো শহরে চলাচলের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
ওই আন্দোলনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির অবরোধ-আন্দোলন নিয়ে পুলিশ সুপারকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড থেকে টাকা নিয়ে এসে মালদহে আন্দোলন করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের আড়ালে দু’জন সক্রিয় ভাবে কাজ করছে।” তা নিয়ে এসটিএফ, সিআইডিকে কাজ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর প্রতিবাদেই গাজলে সাংবাদিক বৈঠকে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জেলা সভাপতি রবি মুর্মু বলেন, ‘‘আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন চলছে। এ রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম, ওড়িশাতেও তা চলবে।’’
অবশ্য মালদহ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা আদিবাসী নেত্রী সরলা মুর্মু বলেন, ‘‘আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন করানো হচ্ছে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কাজ করছেন।’’
তথ্য সুত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা, ২১, নভেম্বর, ২০১৯|

Loading