একজনকে সারা দুনিয়া জানে সাঁওতালি ভাষার নিজস্ব লিপি অলচিকির আবিস্কারক হিসেবে, অন্যজনকে সারা দুনিয়া জানে আদিবাসীদের নিজস্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জনক হিসেবে| দুজনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দিকপাল পুরুষ| প্রবাদপ্রতিম এই দুই ব্যাক্তির কাছে আদিবাসী সাঁওতাল সমাজের মানুষ চিরকৃতঙ্ঘ থাকবে| তৎকালীন সময়ে এই দুই ব্যাক্তিত্বের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল|
১৯৭৭ সালের এক সামাজিক সভায় তরুণ শিবু সরেনকে দিশম গুরুর উপাধী প্রদান করেন পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু ও আদিবাসীদের জন্য পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলনে সফল হবার আশীর্বাদ প্রদান করেন|
বর্তমানে সাঁওতালি ভাষা আন্দোলন ও ঝাড়খণ্ড আন্দোলন অনেকটাই সফলতা লাভ করেছে। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু, শিবু সরেনকে দিশমগুরু আখ্যায়িত করে, তিনখানা তিরধনুকের মধ্যে থেকে একখানা তিরধনুক দিয়ে, আদিবাসী রাজ্য (ঝাড়খণ্ড) গঠন করার দায়িত্ব অর্পণ করেন। অপরদিকে রাজ্য ও ভাষা উভয় ক্ষেত্রেই আন্দোলন ব্যতীত পাওয়া অসম্ভব। তাই আদিবাসী মানুষজন যাতে তাদের অধিকার নিয়ে সর্বদা জাগ্রত থাকে, তাই বীর লড়াকু নেতা নরেন হাঁসদাকে ধামসা দিয়ে, কোলকাতার রাজপথ, রাঁচির রাজপথ এবং ভুবনেশবরের রাজপথকে আন্দোলিত রাখার দায়িত্ব অর্পণ করেন। আজকে এই তিরধনুক ও ধামসার সন্মিলিত আন্দোলনের ফসল ঝাড়খণ্ড রাজ্য (যদিও গ্রেটার ঝাড়খণ্ড অসম্পূর্ণ) ও সাঁওতালী ভাষা অষ্টম তপশীলভুক্ত। এখনও আমাদের অনেক সাংবিধানিক অধিকার বাকি। তাই আপামর আদিবাসীদের কাছে আবেদন, আমাদের বাঁচার মতো বাঁচতে হলে, অবশ্যই তিরধনুক ও ধামসাকে জিইয়ে রাখতে হবে!!! অন্যথায় দ্বিতীয় কোনো বিকল্প পথ নেই।
ঋণ স্বীকার – প্রহ্লাদ পূর্তি ও সুবোধ হেমব্রম|