LOADING

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শহীদ দিবস পালন|

Spread the love

আজ ৯ ই জুন, ২০২০ শহীদ দিবস পালন করল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পুরুলিয়া জেলা কমিটি| আশির দশকে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবীতে পশ্চিমবাংলার জঙ্গলমহল জেলাগুলিতে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা|
১৯৮৯ সালের ০৯ই জুন পুরুলিয়া জেলার বরাবাজারে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার একটি মিছিল চলাকালীন তৎকালীন শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মিছিলের উপরে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তিন জন শহীদ হন – রাখাল মাহাত, জিহুড় মাঝি এবং সুভাষ মাঝি। সেই থেকে প্রতি বছর এই ৯ই জুন দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পুরুলিয়া জেলা কমিটি| এই বছরও শহীদ দিবস পালন করল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পুরুলিয়া জেলা কমিটি|
এই বছর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পুরুলিয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক কমলাকান্ত বাস্কে, জেলা সহ-সভাপতি দিপেন্দু মাহাত এবং রাজ্য কমিটির সদস্য শান্তিরাম মান্ডী।
অন্যদিকে ১৯০০ সালে আজকের দিনেই পরাধীন ভারতে ধারতী আবা বীরসা মুন্ডা কে রাঁচি জেলে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছিল| আদিবাসীরা দীর্ঘ বছর ধরে তাদের জাতিসত্তা রক্ষার স্বার্থে, জল-জঙ্গল-জমিনের অধিকার রক্ষার্থে মনে প্রাণে লড়াই করছে|
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পুরুলিয়া জেলা কমিটির নেতৃত্বরা জানান যে যতদিন পর্যন্ত না সম্পূর্ণ ঝাড়খণ্ড রাজ্য (Greater Jharkhand) প্রতিষ্ঠা করা হবে, মৌলিক অধিকার, বঞ্চিত, শোষণের না মুক্তি দেওয়া হবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সাধারণ গরীব মেহনতি মানুষের স্বার্থে লড়বে।

Loading