বাঁকুড়ার আদিবাসীরা নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে মরিয়া| ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারী দের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বাঁকুড়ার আদিবাসীরা। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র যেভাবে ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারী দের রমরমা বেড়ে উঠেছে তাতে করে প্রকৃত আদিবাসীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছে। এইভাবে ক্রমাগত ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারী দের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে প্রকৃত আদিবাসীদের ধ্বংস অনিবার্য বলে মনে করছেন বিশিষ্ট আদিবাসী মহল। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিরা তপশিলি উপজাতি শংসাপত্র হাতিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আদিবাসীরা। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর এলাকায় ৫০- ৬০ জন মহিলা “লক্ষীর ভান্ডার” এর সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন করার সময় হাতেনাতে পুরপ্রধান অখিল চন্দ্র বর্মন এর কাছে ধরা পড়েন বলে খবরে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং টিচার্স ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে বা চাকরির ক্ষেত্র গুলোতেও এসটি দের জন্য সংরক্ষিত তালিকায় অ-আদিবাসীদের তালিকাভুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এজাতীয় অন্যায় অত্যাচার ও শোষণের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সারা রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন আধিকারিক তথা জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, ব্লক অধিকারিক, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে। গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির বাঁকুড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া মহকুমা শাসক, অনগ্ৰসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর বিষ্ণুপুর, ওন্দা, বাঁকুড়া-১ বাঁকুড়া-২ ব্লকের বি.ডি.ও দেরকে মেমোরেন্ডাম দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা শাখার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ভীম চন্দ্র মুর্মু, গোপাল চন্দ্র মুর্মু, সহ সম্পাদক নিবারণ কিস্কু,
কোষাধ্যক্ষ রাজেশ্বর মান্ডি, সহ কোষাধ্যক্ষ যতীন্দ্র নাথ কিস্কু এছাড়াও সদস্যদের মধ্যে সহদেব বাস্কে, মধুসূদন হাঁসদা, শ্যামলাল মান্ডি, রোহিত চন্দ্র মুর্মু প্রমুখেরা।