LOADING

“আঘন সাঁকরাইত” – মানভূমের সবথেক্যে বড় পরব টুসুর আনুষ্ঠানিক সূচনা|

Spread the love


লিখেছেন – সুশান্ত কুমার মাহাতো| সম্পাদনায় – প্রদীপ কুমার হাঁসদা| মৃদুল কান্তি ঘোষ মহাশয়ের ফেসবুক দেওয়াল থেকে লেখাটি নেওয়া হয়েছে|

মাঈ মসি পিসি কাকী খুড়ী দিদি বহিনেরা সব সিনান কইরে মাটির সরায় গুঁড়ি, সিঁদূর, কাজল লেপ্যে, বাঁদুফুল, ধান- দুব্বা, গেঁদাফুল, সরষ্যা ফুল, কাঁইচ বীচ, গোবর ঢেলা রাখ্যে কুলুঙ্গিতে নাহল্যে ফুলপিঁঢ়ার কাছে সের-পাই, ধান, গোবর, কাঁইচ বীচ তুপ্যে ‘টুসু পাতা’বেক| গটা পোষমাস জুইড়ে চলব্যেক টুসুর গীত।সন্ধ্যা বেলি কুলহি কুলহি গেলেই শুনত্যে পাবে– ” উঠ উঠ উঠ টুসু,উঠ করাতে আস্যেছি–।” তারপর একমাস টুসুর সঙে নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা ভাগ কইরে লিয়া। শেঁষে মকর দিনের দুপহরে টুসুকে বিদায় দিঁয়ে শ্বশুরঘর পাঠানো। ‘টুসুপাতা’র দিনে লেখলি এই টুসুর গীত টা—
রং–
আস্য টুসু আমাদের ঘরে।
তুমায় রাখব্য গো যতন কইরে।।
আস্য টুসু পা ধুঁইয়ে লাও জল দিছি ঘটি ভইরে।
সনার সিংহাসনে টুসু বস্য গো আরাম কইরে।।
আঘন সাঁকরাইত দিনে টুসু আল্যে বছরদিন পরে।কেমন ছিলে টুসুমণি এতদিন শ্বশুরঘরে।।
একমাস ধইরে রাখব্য টুসু,বিদায় দিব মকরে।
সুশান্ত বলে টুসু তুমি দুঃখ কইর না অন্তরে।।

ছবি – সুখেন পরামানিক

Loading