গত ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সারা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষনা করা হলে সাধারণ মানুষ খুব সমস্যায় পড়েন| কোরোনা ভাইরাসকে রুখতে সমস্ত মানুষের বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ ঘোষনা করে সরকার| খুব দরকারি কাজ ছাড়া কাউকেই বাড়ির বাইরে বেরতে দিচ্ছে না পুলিস| এই অবস্থায় বিপদে পড়া সাধারণ মানুষের সাহাযার্থে এগিয়ে এসেছেন কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষ ও সংস্থা| সেইরকমই একজন হলেন সাঁওতালি সিনেমা জগতের মহানায়িকা ও ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) দলের সম্পাদিকা বিরবাহা হাঁসদা|
গত ১২ দিন ধরে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিপদে পড়া সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেদের ব্রতী করেছেন সাঁওতালি সিনেমা জগতের মহানায়িকা ও ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) দলের সম্পাদিকা বিরবাহা হাঁসদা ও তাঁর টিমের সদস্যরা|
লকডাউনের কারণে বাজারের দোকান ও হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব সমস্যায় পড়েছেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি থাকা রুগীদের আত্মীয় পরিজনেরা| গত গত ১২ দিন ধরে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি থাকা রুগীদের আত্মীয় পরিজনদের খাবার জুগিয়ে গেছেন বিরবাহা হাঁসদা ও তাঁর টিমের সদস্যরা| কারোর কাছে হাত পাতেননি, নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করেছেন বিরবাহা হাঁসদা ও তাঁর টিমের সদস্যরা|
লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের জলের বোতল দিয়ে সাহায্য করেছেন বিরবাহা হাঁসদা ও তাঁর টিমের সদস্যরা| ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি যে সমস্ত রুগীদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করছেন বিরবাহা হাঁসদা ও তাঁর টিমের সদস্যরা| অভিযোগ এই লকডাউনের বাজারে এম্বুলেন্স চালকেরা নাকি ছুটি হওয়া রুগী ও তাঁর পরিজনদের বাড়ি পৌঁছে দেবার জন্য অস্বভাবিক ভাড়া চাইছে|
বিরবাহা হাঁসদার নিজের কথায়, “অন্তরের তাগিদ থেকে আমি ও কয়েকজন এই কাজ শুরু করেছি| প্রথমে কয়েকজন মিলে শুরু করলেও পরে আরো অনেকে আমাদের সাথে যুক্ত হন| আমরা কারোর কাছে হাত পাতিনি, নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষদের সাহায্য করছি| “