পশ্চিমাঞ্চল বার্তার দীনবন্ধু দে – কে অশেষ ধন্যবাদ| অসহায় বৃদ্ধা রজনী টুডুর অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে সর্বপ্রথম সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোষ্ট করেন দীনবন্ধু বাবুই|সেই পোষ্ট দেখে আমি প্রদীপ কুমার হাঁসদা নতুন করে খবরটি পোষ্ট করি| আমার পোষ্টও অনেকে শেয়ার করেছেন| সকলকেই ধন্যবাদ জানাই| বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি শালুকা গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক সুকুমার দেবসিংহকে, যিনি খবর পেয়ে রজনী টুডুকে আধার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন|
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে পশ্চিমাঞ্চল বার্তার দীনবন্ধু দের ফেসবুক পোষ্ট থেকে আদিবাসী বৃদ্ধা রজনী টুডুর অসহায় অবস্থার কথা জানা যায়| ওই পোষ্ট থেকে জানা যায় যে আদিবাসী বৃদ্ধা রজনী টুডুর আপন বলতে কেউ নেই| সংসারেও কেউ নেই| রেশন থেকে দু টাকা কেজি দরে সপ্তাহে চাল শুধু পায়| কিন্তু ওই চাল কেনার সামর্থ্য নেই| তাই এই 76 বছর বয়সে জঙ্গল থেকে রেশনের চাল এবং নিজের জন্য আর্থিক যে প্রয়োজন সেটা মেটানোর জন্য শালপাতা তুলে এনে বিক্রি করে| আধার কার্ড নেই বলে কিছুই ভাতা পায়নি| আর কিছুদিন পর হয়তো রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক হয় তাহলে চালও হয়ত পাবেন না|
এই অবস্থায় সে চারদিকে ছোটাছুটি করছে কিন্তু আধারকার্ড করতে পারছে না|
ওই পোষ্ট থেকে আবেদন জানানো হয় যে কোন ব্যক্তি যদি তাকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক তারা যেন এই বৃদ্ধা সঙ্গে যোগাযোগ করে|
সম্ভবত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শালুকা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুকুমার দেবসিংহ বাবু আদিবাসী বৃদ্ধা রজনী টুডুর পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বৃদ্ধার আধার কার্ড তৈরী করতে সাহায্য করলেন|