২ রা নভেম্বর, ২০২১ (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আদিবাসীরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশনে এসটি তালিকায় গোলমালের অভিযোগ তুলে রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে দেখা করল। দিকে দিকে যেভাবে ফেক এসটি সার্টিফিকেট ছড়িয়ে পড়েছে তার প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্র, চাকরির ক্ষেত্র এবং জনপ্রতিনিধি মূলক ক্ষেত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেলায় জেলায় বিভিন্ন এসডিও, বিডিও, ডিএম বা পিও কাম ডিডাব্লিউও অফিসারকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও তেমন কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এর আগে বিশ্বভারতীর এডমিশন এর ক্ষেত্রে এসটি রিজার্ভেশন এর তালিকায় অ-আদিবাসীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জানিয়েও তেমন কোনো সমাধান সূত্র পায়নি আদিবাসীরা। গত এক মাস আগে বিশ্বভারতীর ভিসির সঙ্গে দেখা করার জন্য মেলের মারফত অনুমতি পত্র পাঠিয়েও কোনো অনুমতি মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসোসিয়েশনের সদস্যরা। তবে আজ রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে পেরে সন্তুষ্ট আদিবাসীরা। পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক পার্শাল কিস্কু জানিয়েছেন এর আগে গত ২ রা অক্টোবর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এডমিশন কোঅর্ডিনেশন সেল এবং ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানকে পিএইচডি অ্যাডমিশন লিস্টে থাকা সন্দেহজনক আদিবাসীদের নাম সহ চিঠি লেখা হয়েছিল। আজ সম্মানীয় রেজিষ্ট্রারের সাথে গ্রাজুয়েশন, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং এমফিল সহ বিভিন্ন এডমিশনের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত তালিকায় সন্দেহজনক অ-আদিবাসীদের নামের তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। রেজিষ্ট্রার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবেন বলে আদিবাসীদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাতে সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির বীরভূম জেলা শাখার সম্পাদক তথা কলেজ অধ্যাপক দশরথ মুর্মু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও স্কুল শিক্ষক শিবু সরেন, নারায়ণ মহুলি, কোষাধক্ষ্য মনীন্দ্র টুডু, সহ-সভাপতি ও স্কুল শিক্ষক শ্যামল কোঁড়া প্রমুখেরা এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে নব কিস্কু, মহাদেব টুডু, প্রশান্ত হেমব্রম, সুভাষ টুডু প্রমুখেরা এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক পার্শাল কিস্কু ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাখার সম্পাদক পবন সরেন উপস্থিত ছিলেন।