মাহাতো পদবীধারী সান্তাল সাব- কাস্ট লেখা সাসপিসিয়াস ১৮ জন ক্যান্ডিডেটসদের সার্টিফিকেট বাতিলের দাবি নিয়ে বারুইপুর মহকুমা শাসককে ডেপুটেশন ও মেমরাণ্ডাম জমা দিল আদিবাসীরা|
ওয়েস্টবেঙ্গল সিডিউল্ড ট্রাইব ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন তথা পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাখার আদিবাসীরা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ বারুইপুর মহকুমা শাসকের নিকট মেমোরেন্ডাম পত্র জমা করলেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার জন্য বারুইপুরের আধিকারিক এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছেন। দুই ২৪ পরগনাতেই ফেক এসটি সার্টিফিকেটধারী আদিবাসীদের সংখ্যা প্রকৃত আদিবাসীদের সংখ্যার চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছে সেখানের বেশ কিছু আদিবাসীরা। যদিও পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই ফেক এসটি সার্টিফিকেট ধারী দের সংখ্যা বিপুল মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা, চাকরির মত ক্ষেত্র থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি মূলক ক্ষেত্রগুলোতেও প্রকৃত আদিবাসীরাই বঞ্চিত হচ্ছে। অ-আদিবাসীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রকৃত আদিবাসীদের ধার্য সাংবিধানিক অধিকার। অ-আদিবাসীদের এইভাবে যথেচ্ছ এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু করাকে আদিবাসীদের ধ্বংসের চক্রান্ত বলেই মনে করছেন অনেক বিশিষ্ট আদিবাসীরা| বারুইপুরের মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করছেন আদিবাসীরা। যদিও সাতদিনের মধ্যে যদি আধিকারিক যথাযথ পদক্ষেপ না নেয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। মেমোরেন্ডাম প্রদানে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর কিস্কু, বিধানচন্দ্র হাঁসদা, নিরঞ্জন সরেন, বুদ্ধেশ্বর টুডু, বাসুদেব ওঁরাও, বিপ্লব মুন্ডা, কৃষ্ণ সর্দার, অসীম কুমার সিং, বরুণ কুমার সর্দার, ননী গোপাল সিং, দিলীপ সর্দার প্রমুখেরা।