LOADING

কৃষক ও গ্রামীণ মানুষের দাবী নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ডেপুটেশন স্বরাজ ইন্ডিয়ার|

Spread the love

গত ৪ঠা জুন, ২০২০, ঝাড়গ্রাম জেলার কৃষিনির্ভর ও গ্রামীণ মানুষের হয়ে স্বরাজ ইন্ডিয়ার ঝাড়গ্রাম জেলা উপ-সভাপতি অশোক মাহাত-র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতী মাধবী বিশ্বাসকে ১৯ দফা দাবী সনদ পেশ করেন| প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন অমিয় অট্ট, সৌম্য রায় চৌধুরী, অরিন্দম দত্ত, সুজয় ঘোষ ও প্রদিপ মন্ডল| দাবীগুলো নিয়ে দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয় ও সভাধিপতি আশ্বাস দেন বিষয়গুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে|
স্বরাজ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার গ্রামীণ কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের কয়েকটি অত্যাবশ্যক ও জীবন-জীবিকা সুরক্ষা সংক্রান্ত দাবীতে এই ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়| স্বরাজ ইন্ডিয়ার আশা জেলা পরিষদ এই বিষয়গুলি মনযোগ সহকারে দেখবে ও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

দাবীসমূহ-

১) করোনা লকডাউনের ফলে এবং আমপান ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধান, গম, তিল, সূর্যমুখী, ডাল, সব্জী, ফল, ফুল, দুধ ও বাগান চাষীদের দ্রুত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোন দলবাজি চলবে না।
২) ভাগ ও চুক্তি চাষীরা যাতে উপরোক্ত সমস্ত সরকারী সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৩) গ্রামে শিবির করে সরকারী দরে ধান ও অন্যান্য ফসল কিনতে হবে।
৪) কৃষকদের সমস্ত রকম ঋণ মুকুব করতে হবে।
৫) সার ডিজেল বিদ্যুৎ ভর্তুকি দিয়ে সরবরাহ করতে হবে। লক ডাউনে এই ৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে।
৬) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন ও কৃষি বিপণন আইন পরিবর্তন করা চলবে না।
৭) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে (পিএম কিষাণ) ১০ হাজার টাকা সমস্ত কৃষকদের দিতে হবে।
৮) কৃষিমজুর ও গ্রামীণ গরীবদের জব কার্ডে ১০ হাজার টাকা ভাতা দিতে হবে।
৯) অবিলম্বে সব গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পর কাজ চালু করতে হবে। জেসিবি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
১০) রেশনে মাথাপিছু ১০ কেজি চাল/গম, ডাল, ভোজ্য তেল, আলু ও মশলা সরবরাহ করতে হবে।
১১) যারা ডিজিটাল কার্ড পায়নি তাদেরকে অবিলম্বে ডিজিটাল রেশন কার্ড ও রেশন দিতে হবে।
১২) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের ট্রেনে করে এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৩) প্রতিটি প্রবাসী শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪) তপশিলী জাতি এবং তপশিলী উপজাতিদের গ্রামে শিবির করে জরুরী ভিত্তিতে শংসাপত্র দিতে হবে।
১৫) করোনা ও গ্রামীণ চিকিৎসার উন্নতির জন্য জেলা ও ব্লক স্তরে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৬) ব্লকে স্তরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
১৭) জঙ্গলে শাল পাতা এবং কেন্দু পাতা তুলতে গেলে কোন রকম বাধা দেওয়া যাবে না।
১৮) হাতির দ্বারা সকল ফসল নষ্টের ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
১৯) আদিবাসীদের জল জঙ্গল এবং জমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে|

স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সত্তম গত
৪ঠা জুন, ২০২০, এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন|

Loading