LOADING

আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবীতে রাজ্যপালকে স্বারকলিপি তপশিলি ফেডারেশনের|

Spread the love

সম্প্রতি বিধংসী ঝড় আমফানের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবীতে মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকরকে স্বারকলিপি দেওয়া হল তপশিলি ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে|

স্মারকলিপিতে জানানো হয় যে COVID-19 বা করোনার থাবায় গোটা দেশের সাথে বাংলার মানুষও আর্থিক সংকটে ভুগছেন| বিশেষ করে গরিব তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি বা আদিবাসী সমাজের মানুষ| এই গরিব মানুষ গুলির বেচেঁ থাকার শেষ আশ্রয় ও সম্বল আমফান ঝড় কেড়ে নিয়েছে|
বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ১৫-১৬ জায়গায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের হরিনহুলা, মোহনপুর, বাঁশড়া, চন্ডিবাড়ি, কালিবাড়ি, মল্লিক ঘেরি গ্রামগুলি এখন জলের তলে। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামবাসীরা এক কাপড়ে উঁচুবাড়ি বা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন| তারা কোন ত্রাণ,খাদ্য,পানীয় জল, শিশুদের দুধ, বস্ত্র কিছুই পায়নি| ত্রিপলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি| এর থেকেও ভয়াবহ অবস্থা সুন্দেশখালির| হাবড়া, গাইঘাটা, দেগঙ্গা, বাদুরিয়া, হাড়োয়া ব্লকও একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের জমিতে কোন ফসল বেঁচে নেই|
কাঁচাবাড়ি, টিনের বাড়ি, টালির বাড়ি, বিচলির ঘর, সবই নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে| বিশেষ করে তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, গরিব মানুষের সব শেষ। সরকার আর্থিক সাহায্য না করলে এই মানুষগুলি আর বেচেঁ থাকবে না|
রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংশ হয়েছে| তারা গৃহহীন, খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় জলের অভাবে অর্ধহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন|
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলী, হাওড়া, নদীয়া জেলাতেও আমফান ঝড়ে ক্ষতি হয়েছ, কৃষকদের ফসল ধ্বংস হয়েছে|
সুন্দরবনের ১৯ টা ব্লকের মানুষ সবচাইতে খারাপ অবস্থায় আছে। তাদের মধ্যে সিংহ ভাগ মানুষ তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি সমাজের মানুষ এবং গরিব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ|
ডঃ বি আর আম্বেদকর সবার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসাবে লিপিবদ্ধ করেছেন| কিন্তু দুঃখের হলেও সত্যি যে এই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি সমাজের মানুষ এবং গরিব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত|
স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়ের কাছে তপশিলি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত দাবীগুলি পেশ করা হয় :-
১)বিদ্যাধরী নদীর ভাঙ্গা বাঁধ দ্রুত সংস্কার করতে হবে।
২) প্রত্যেকটি ভাঙ্গা বাড়ি কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে পাকা বাড়ি তৈরী করে দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিতে হবে।
৩) প্রত্যেক কৃষকদের বিনা সুদে চাষ করার জন্য (৫বছর মেয়াদ) ঋণদিতে হবে| বর্গাচাষি দের ফসলের ক্ষতির টাকা দিতে হবে।
৪) আমফান ও করোনায় মৃত পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিতে হবে।
৫) SC/ST দের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষনা করতে হবে|

তথ্য সৌজন্য – মৃত্যুঞ্জয় মল্লিক, জাতীয় সম্পাদক, তপশিলি ফেডারেশন|

Loading