গত ২৭ই মে, ২০২০ সারা দেশে ২৫০-র ও বেশি কৃষক ও খেত মজুর সংগঠনের যৌথ মঞ্চ অখিল ভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি (এ.আই.কে.এস.সি.সি)-র ডাকে দেশের ২০টি রাজ্যের ৩০০-র ও বেশী জেলায় বিভিন্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও দিবস পালিত হয়। এ.আই.কে.এস.সি.সি-র ঝাড়গ্রাম ইউনিটের পক্ষ থেকে দিবাকর হাঁসদা [সারা ভারত কৃষক সভা], মনোরঞ্জন ঘোষ [সারা ভারত কৃষক সভা], অশোক ব্যানার্জি [সারা ভারত অগ্রগামী কিষাণ সভা], অশোক মাহাত [জয় কিষাণ আন্দোলন] ও নিরঞ্জন বেরা [সংগ্রামী কৃষক সমিতি] ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি ব্লকের আধিকারিদের কাছে কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের নিম্নলিখিত দাবী সনদ আজ চিঠি মারফত পেশ করেন।
1) করোনা লকডাউনের ফলে এবং আমপান ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধান, সব্জী, ফল, ফুল, ভুট্টা, গম, পান, দুধ, উদ্যান কৃষকদের দ্রুত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোন দলবাজি চলবে না।
2) ভাগ ও চুক্তি চাষীরা যাতে উপরোক্ত সমস্ত রকম সরকারী সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
3) গ্রামে ক্যাম্প করে সরকারী দরে ধান, ভুট্টা ও অন্যান্য ফসল কিনতে হবে।
4) কৃষকদের সমস্ত রকম ঋণ মুকুব করতে হবে।
5) সার ডিজেল বিদ্যুৎ ভর্তুকি দিয়ে সরবরাহ করতে হবে। লক ডাউনে এই তিনমাসের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে।
6) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন পরিবর্তন করা চলবে না।
7) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে (পিএম কিষাণ) ১০ হাজার টাকা সমস্ত কৃষকদের দিতে হবে।
8) কৃষিমজুর ও গ্রামীণ গরীবদের জব কার্ডে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
9) অবিলম্বে কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পর কাজ চালু করতে হবে। জেসিবি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
10) রেশনে মাথাপিছু ১৫ কেজি চাল/গম, ডাল, ভোজ্য তেল, আলু ও মশলা সরবরাহ করতে হবে।
11) যারা ডিজিটাল কার্ড পায়নি তাদেরকে অবিলম্বে ডিজিটাল রেশন কার্ড ও রেশন দিতে হবে।
12) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে করে এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে।
13) প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
14) তপশিলী জাতি এবং তপশিলী উপজাতিদের গ্রামে ক্যাম্প করে জরুরী ভিত্তিতে শংসাপত্র দিতে হবে।
15) করোনা ও গ্রামীণ চিকিৎসার উন্নতির জন্য জেলা ও ব্লক স্তরে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
16) ব্লকে স্তরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
17) জঙ্গলে শাল পাতা এবং কেন্দু পাতা তুলতে গেলে কোন রকম বাধা দেওয়া যাবে না।
18) হাতির দ্বারা সকল ফসল নষ্টের ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
19) আদিবাসীদের জল জঙ্গল এবং জমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সূত্র – Updated News Jhargram